যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন, ডিসি ২৬শে মার্চকে 'বাংলাদেশ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন, ডিসি ২৬শে মার্চকে 'বাংলাদেশ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের আজ ৪৯তম জন্মদিন। ওয়াশিংটনের মেয়রের অফিস থেকে ঘোষণা এসেছে, ২৬ মার্চকে ওয়াশিংটনে 'বাংলাদেশ দিবস' ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পোক্ত। ৪৯ বছর আগে স্বাধীনতাযুদ্ধের পটভূমিতে এই অঞ্চলের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে। স্বাধীনতার পরেও নানান সময়ে তীর্যক মন্তব্য শুনতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।

৭৩-এ অটোয়ায় কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের কথা। নাইজেরিয়া তখনও স্বীকৃতি দেয়নি। স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশিদের সফল মুক্তিযুদ্ধ নাইজেরিয়ার পূর্বাংশের বায়াফ্রাবাসীর মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে, এই নিয়ে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট চিন্তিত। সম্মেলনে জাতির জনককে হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি জেনারেল ইয়াকুবু গাওয়ান আক্রমণ করে বললেন, "কেন শক্তিশালী অবিভক্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রকে বিভক্ত করতে গেলেন?" হেসে বঙ্গবন্ধু উত্তর দিয়েছিলেন, "শুনুন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আপনার কথাই সঠিক। অবিভক্ত পাকিস্তান ছিল শক্তিশালী, তার চেয়েও শক্তিশালী ছিল অবিভক্ত ভারত, তার চেয়েও শক্তিশালী হতো সংঘবদ্ধ এশিয়া মহারাষ্ট্র আর মহাশক্তিশালী হতো যদি সমগ্র বিশ্ব হতো একজোট। চাইলেই কি তা করা সম্ভব?" পরাধীনতা, অসমান অধিকার নিয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রের বঞ্চিত অংশ হওয়ায় মঙ্গলজনক কিছু নেই। গলার সাদা চাদরটা নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, "এই নিন, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমার এই ক্ষুদ্র উপহার।"

সীমাবদ্ধতায় জর্জরিত ক্ষুদ্র দেশটি কখনো স্বীকৃতি-ভিক্ষার পথে হাঁটে নি। তাই সবার আগে মনে রাখা উচিত, কৃত কোন কাজে যেন দেশটাকে ছোট না করে বসি। সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে যে রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছিল, সেটির প্রতি প্রকৃতপক্ষে শ্রদ্ধাশীল থাকাটাও খুবই জরুরী।

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ!