Header Ads

Header ADS

হাতের কাছে প্রাপ্ত ফলের ঔষধি গুণ!

হাতের কাছে প্রাপ্ত ফলের ঔষধি গুণ...............।।অতীব
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট...
পেয়ারা
* পেয়ারা পাতা ও অপরিপক্ব পেয়ারা কলেরা, আমাশয়
নিরাময়ে ভালো কাজ করে।
* ত্বকের ক্ষত বা ঘায়ে পেয়ারা পাতা থেঁতো করে প্রলেপ
দিলে উপকার পাবেন।
* কচি পেয়ারা পাতা চিবালে দাঁতের ব্যথা কমে।
* মাড়ি ফোলা বা দাঁতের ব্যথায় প্রতিদিন সকালে পেয়ারার
ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ি ফোলা কমবে, ব্যথাও থাকবে
না।
বরই
* বরই পাতা পিষে খেলে বাতের ব্যথায় উপকার পাওয়া যায়।
* বরই রক্ত পরিষ্কার এবং হজমে সহায়তা করে।
* শুকনো বরই গুঁড়া ও আখের গুড় মিশিয়ে খেলে ইউরিন
ইনফেকশন থাকবে না।
কলা
* পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
* কলার থোড় বা মোচা রান্না করে খেলে ডায়াবেটিস,
আমাশয় ও আলসার নিরাময় হয়।
* পাকা বিচিকলার বীজ কৃমিনাশক।
আনারস
* পাকা আনারসের জুস নিয়মিত খেলে জন্ডিস ভালো হয়।
* কচি আনারসের শ্বাস ও পাতার রস মধু মিশিয়ে খেলে
কৃমি মরে যায়।
কামরাঙ্গা
* পাকা কামরাঙ্গা রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
* কাঁচা ফল ও পাতা সিদ্ধ করে পানি পান করলে বমি বন্ধ
হয়।
* কামরাঙ্গা গাছের ডগা ও পাতার গুঁড়া খালি পেটে খেলে
জলবসন্ত ও কৃমি নিরাময় হয়।
* কাশি ও অ্যাজমা নিরাময়ে পোড়া কামরাঙ্গা উপকারী।
লেবু
* লেবুর রস, আদা ও লবণ মিশিয়ে খেলে ঠাণ্ডা ও সর্দি-
কাশি উপশম হয়।
* লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে যেকোনো ক্ষত শুকায়।
* লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে রোদে পোড়া
কালো দাগ থাকবে না।
চালতা
* কচি চালতার রস পেটের গ্যাস দূর করে। বাতের ব্যথায়ও
উপকারী।
* কাঁচা চালতার রস ও আখের গুড় মিশিয়ে খেলে কফ দূর হয়,
শ্বাসকষ্ট কমে যায়।
* পাকা চালতার রস চিনিসহ পান করলে সর্দিজ্বর উপশম
হয়।
করমচা
* পাতা সিদ্ধ করে পান করলে কালাজ্বর ভালো হয়।
হশিকড়ের রস লাগালে ত্বকের চুলকানি সেরে যায়।
বেল
* পাকা বেলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম
শক্তি বাড়ায়।
* আমাশয় নিরাময়ে আধা পাকা বেল সিদ্ধ করে খেলে বেশ
উপকার হয়।
* বেল পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খেলে চোখের ছানি কেটে
যায়। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
আমলকী
* আমলকী নিয়মিত খেলে হাঁপানি, কাঁশি ও জ্বর নিরাময়
হয়।
* আমলকী রসের শরবত জন্ডিস, বদহজম দূর করে।
* আমলকীর বীজ চূর্ণ যকৃৎ, অজীর্ণ ও ডায়াবেটিস রোগের
প্রকোপ কমায়।
খেজুর
* সকালে খালিপেটে আধাপাকা খেজুরের রস খেলে কৃমি চলে
যায়।
* পাকা খেজুর শারীরিক দুর্বলতা কমায়, স্নায়বিক শক্তি
বৃদ্ধি করে।
* খেজুরের বিচি চূর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁতের
যেকোনো দাগ চলে যায়।
* শুষ্ক কাশি এবং অ্যাজমায় খেজুর বীজ চূর্ণ বেশ
উপকারী।
* খেজুর গাছের কাণ্ড থেকে নির্গত আঠা ডায়রিয়া ও
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমায়।
কতবেল
* পাকা কতবেল যকৃৎ ও হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে।
* বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে ক্ষতস্থানে বেলের শাঁস
প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।
* কচি কতবেল পাতার রস দুধ ও মিছরির সঙ্গে মিশিয়ে
খেলে শিশুদের পিত্তরোগ ও পেটের অসুখ ভালো হয়।
পানিফল
* কাঁচা পানিফল তলপেটের ব্যথা কমায়।
* পানিফলের শুকনো শাঁস রুটি করে খেলে অ্যালার্জি ও
হাত-পা ফোলা কমে যায়।
* বিছা কামড়ালে থেঁতলানো পানিফলের শাঁস প্রলেপ দিলে
উপকার হয়।
আমড়াঃ
*বরিশাল এলাকায় সর্বাধিক পরিমাণ আমড়া উৎপন্ন হয়।
*আমাড়াতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
*আমড়া গাছের ছাল থেঁতো করে এক চামচ রস কিছুদিন খেলে
শরীরে খসখসে ভাব থাকেনা এবং শক্তি পাওয়া যায়।
*৩-৪ গ্রাম আমড়া আঠা, আধকাপ পানিতে কিছুক্ষণ
ভিজিয়ে রাখতে হবে।
*আমড়ার এক চামচ রস-এর সাথে চিনি দিয়ে মিশিয়ে খেলে
দু-চার দিনের মধ্যে রক্ত আমাশয় ভালো হয়ে যাবে।
*আমড়া টুকরা করে কেটে অল্প লবণ মিশিয়ে খেলে মুখের
স্বাদ ফিরে আসে।
গাবঃ
* সুকনো গাব ফলের গুড়া ১ গ্রাম পরিমাণ সামান্য মধুর
সাথে মিশিয়ে খেলে বাচ্চাদের হিক্কারোগ বন্ধ হয়ে যায়।
*ঠোঁটের দুই পাশে এবং মুখের ভিতরে ঘা হলে গাব ফলের
রস সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে কয়েকদিন কুলকুচা করলে
মুখের ঘা সেরে যাবে।
*অনেক সময় দেখা যায় ফোঁড়া সেরে গেলেও দাগ থেকে যায়।
এ ফলের রস কয়েকদিন লাগালে দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে।
জামঃ
*জামের বীজ ডায়াবেটিস রোগের জন্য খুবই উপকারী। বীজ
গুঁড়া করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
*দেহের কোন স্থান কেটে গেলে বা ছিলে গেলে জাম পাতার
রস সেখানে লাগালে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়।
*কচি জাম পাতার রস ২/৩ চামচ কুসুম গরম করে ছেঁকে খেলে
কয়েকদিনেই রক্ত আমাশয় ভাল হবে।

No comments

Powered by Blogger.